ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায় কিভাবে শুরু করবেন

১. প্রশিক্ষণ/ অভিজ্ঞতা অর্জন করুনঃ

২. প্রতিষ্ঠানের নাম ও কাঠামো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ

৩. লোকশন/ অফিস ভাড়া

ব্যবসার শুরুতে আপনাকে অফিস ভাড়া করতে হবে। অভিজ্ঞতা যেমনই হোক ব্যবসায়ের শুরুতে ছোট অফিস নেওয়া এবং কম খরচে শুরু করার পরামর্শ থাকবে আমার। এক্ষেত্রে ১০-১২ হাজার টাকার বা তার কমে মধ্যম মানের একটা অফিস/ সাবলেট ভাড়া নিয়ে শুরু করতে পারেন। অফিস ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ষ্ট্যাম্পে ভাড়ার চুক্তিনামা করবেন এবং প্রয়োজনীয় সব কিছু উল্লেখ রাখবেন।

৪. অফিস সরঞ্জাম ও কাগজপত্র/অফিস সেট আপ করুন এবং সরঞ্জাম বিনিয়োগ করুন

একটা অফিস চালু করতে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজন পড়ে। 

কম্পিউটার: অফিসের জন্য ডেস্কটপ কম্পিউটার না কিনে ল্যাপটপ কিনুন। এতে প্রয়োজনে এটি সঙ্গে রেখে যে কোন স্থান থেকে কাষ্টমার সার্ভিস দিতে পারবেন।

প্রিন্টার: ৩টি অপশন আছে অর্থ্যাৎ স্ক্যান, ফটোকপি এবং প্রিন্ট করা যায় এমন প্রিন্টার কিনুন। সঙ্গে ওয়াইফাই অপশন আশে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিবেন। এতে প্রিন্ট দিতে ক্যাবল কানেকশনের ঝামেলা থেকে বেচে যাবেন।

ভিজিটিং কার্ড, কোম্পানি প্যাড, মানি রিসিপ্ট। প্রিপেইড কার্ড

৫. প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং পারমিট নিশ্চিতকরন ও এসোসিয়োশন্স

ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য সরকারী অনুমতির যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা নিয়ে অনেকের কনফিউশন তৈরী হয়েছে। যেমন ট্রেড লাইসেন্স, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি। ট্রাভেল এজেন্সী শুরু করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই ব্যবসায় শুরু করতে পারবেন। ব্যবসায় অবস্থা ভালো হলে পর্যায়ক্রমে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন সহ বিভিন্ন মেম্বারশিপ ও সংস্থার অনুমতি নিতে পারবেন।

৬. ব্যাংক একাউন্ট

আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যাংক একাউন্টের কোন বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট না খুলে বা ব্যবহার না করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নামে কারেন্ট একাউন্ট খুলুন। অনেক প্রতিষ্ঠান দেখেছি যারা ব্যক্তিগত একাউন্টে লেনদেন করে, যা অনেক ক্লায়েন্টের আছে অসস্তিরদায়ক। কোম্পানি একাউন্টে লেনদেনের ক্ষেত্রে মানুষে আস্থা বেশী পায়। তাছাড়া ভবিষতে ব্যাংক লোনের ব্যাপারে এটা বেশ সাহায্য করবে।  

৭. টার্গেট মার্কেট/ মেইন পণ্য বা সেবা বাছাইকরন

৮. মার্কেটিং

মার্কেটিং ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মার্কেটিং বা সেলস এর উপর ব্যবসায়ের সফলতা ও বিফলতা অনেকংশে নির্ভর করে। তাই শুরু থেকে মার্কেটিংয়ের উপর জোর দিতে হবে।

ফেসবুক: মার্কেটিংয়ের মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক অন্তত্য জনপ্রিয়। জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। আপনার কোম্পানির নামে ফেসবুকে বিজনেস পেজ খুলে ফেলুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের সেবাসমূহ নিয়মিত হালনাগাদ করুন কিংবা বুষ্ট করুন।

গুগল বিজনেস প্রফাইল: গুগল ম্যাপে আপনার অফিসের লোকেশন যুক্ত করতে পারবেন গুগল বিজনেস প্রফাইল থেকে। লোকেশন যুক্ত করার পাশাপাশি ফ্রী ওয়েব সাইট তৈরী করতে পারবেন। সাথে আরও অন্যান্য তথ্য যুক্ত করতে পারবেন। 

ই-মেইল: ব্যবসায়িক মেইল আদান প্রদানের জন্য এজেন্সীর নামের সাথে মিল রেখে ইমেইল খুলুন। ব্যবসায়িক সমস্ত মেইল আদান প্রদান এই মেইলেই করবেন। ফ্রী মেইল খোলার জন্য জিমেইল এবং বিজনেস মেইল খোলার জন্য গুগলের  ওয়ার্কপ্লেস থেকে মেইল খুলতে পারেন। গুগলের  ওয়ার্কপ্লেস থেকে মেইল খুলতে গেলে মাসে নূন্যতম ৬ ডলার পেমেন্ট করতে হবে। মনে রাখবেন অফিসের জন্য ব্যবহৃত ইমেইল দিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করবেন না। কারণ অতিরিক্ত মেইল করার করলে আপনার মেইলটি ইনবক্সে না গিয়ে SPAM মেইলে জমা হবে। যার কারণে আপনার ইমেইল যোগযোগ ব্যহত হবে। 

ইউটিউব: 

ওয়েবসাইট: অল্প খরচে আপনি ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। প্রয়োজনীয় তথ্য বা সেবা সেখানে যুক্ত করবেন। সম্ভব হলে SEO করবেন। এতে মানুষের কাছে আপনার প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও সেবা পৌছে যাবে সহজে।

৯. হিসাব নিকাশ/ সেলারী 

১০. দলিলাদি সংরক্ষণ

১১. ব্রান্ড/ বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি

Leave a Reply